মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গত ৩ দিনে পাগল কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন ২১ জন। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৩ দিনে কুলাউড়া পৌরশহরে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, কুলাউড়ার পৌর শহরের জয়পাশা, দত্তরমুড়ি, বিছরাকান্দি, উত্তরবাজার, উত্তর মাগুরা, মাগুরা, পরিনগর, বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে পাগলা কুকুর মানুষদের কামড়াতে শুরু করে। পরে আহতবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন-কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরার আব্দুল ছামিদ (১৪), শিশু রাফিয়া (৪), রিয়াদ (১৯), রেল কলোনীর বাসিন্দা মিনারা বেগম (৫৭), পরিনগরের সায়েরা বেগম (৩৫), বিছরাকান্দির মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৮), উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গিয়াসনগর গ্রামের সাইফুর রহমান (৩০), ঘাগটিয়া গ্রামের খলিল মিয়া (৩৭), ও দত্তরমুড়ির মুস্তাাফিজুর রহমান (৩৭)। ভুকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুরের হানিফ মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের খুমিয়া গ্রামের কাওসার মিয়া (১৯), হাজীপুর ইউনিয়নের সিয়াম (৯), কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রামের সমিত চন্দ্র (২১) ও তাসনিয়া (২১), বরমচাল ইউনিয়নের একরামনগর গ্রামের রহিম খাঁন (২০)। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহত পৌর শহরের উত্তর মাগুরা এলাকার হানিফ মিয়া জানান, স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন পিটিয়ে কুকুরটিকে মেরে ফেলেছে।
আহত ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা নিমার আলী (৬০) জানান, ‘আমি বুধবার সকালে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়ে কুলাউড়া শহরে আসি। শহরে আসা মাত্র শহরের উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে নামা মাত্র পাগলা কুকুর আমার পায়ে ও হাতে কামড় দেয়।’
উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ২১ জনকে উপজেলা বিনামূল্যে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দু’জনকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর নিধনের কোনো সুযোগ নেই। তবে কুকুরের কামড়ানো রোগীদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হাসপাতালে রয়েছে।’