ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশের গুলিতে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় ফ্রান্সে শুরু হওয়া সহিংসতা আরও ছড়িয়েছে। গত মঙ্গলবার নানতেরেতে গাড়ির ভেতর নাহেল এম নামের ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গুলি করেন এক পুলিশ সদস্য। এতে তার মৃত্যু হলে পুরো দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাতে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানী প্যারিসসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া বিভিন্ন দোকানে লুটেপাটের ঘটনাও ঘটে।
প্যারিসের রু দে রিভোলির বিভিন্ন দোকানে লুটপাটকারীরা ভাঙচুর চালিয়ে, সেগুলোতে প্রবেশ করে দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে নানতেরেতে। এখানেই নাহেল এমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে ফ্রান্সে ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ কমান্ড সেন্টারে অবস্থান নিয়েছেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ দমনে কাজ করবেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর।
যে কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সে মরোক্কো বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এ কিশোরকে বর্ণবৈষমূলক মানসিকতা থেকেই ওই শেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য গুলি করেছেন।
যদিও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলের সদস্যরা জানিয়েছে, এ ঘটনায় বর্ণবৈষম্যের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁও এর নিন্দা জানিয়েছেন।
যে পুলিশ সদস্য নাহেলকে গুলি করেন তাকে ইতোমধ্যে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে।
সূত্র : বিবিসি