পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে বিদ্যুতের সংকট নেই। ভারত থেকে ইনপুট করা বিদ্যুৎ লাইনে এসে গেছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসছে। তবে হঠাৎ তীব্র গরম পড়ায় এসি, ফ্রিজ ও ফ্যান দিন-রাত চালানো হচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা তিনগুণ বেড়ে গেছে। এ চাপের কারণে সারাদেশে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপনের ২য় পর্যায়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নলকূপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যারা দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে তারাই ভালো মানুষ। তারাই জনগণের বন্ধু। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের উন্নয়নে সবসময়ই কাজ করে। তাই দেশের মানুষ বারবার এই উন্নয়নের সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে। দেশে এখন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে গোটা দেশ।
তিনি বলেন, নিরাপদ পানির কষ্ট আমি বুঝি। নিরাপদ পানির অভাব আর কলেরায় আমার আত্মীয়-স্বজন মারা গেছে। আমি নিজেও কষ্ট পেয়েছি। আর কোনো মানুষ যাতে নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট না পায় সেজন্য নলকূপ ও স্যানিটেশন দেয়া হচ্ছে। কাউকে কষ্টে রাখা হবে না। কষ্ট লাঘব করতে নিরাপদ নলকূপ ও স্যানিটেশনের পাশাপাশি আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের দেখলে আমার মায়ের কথা মনে হয়। আপনারা আমার অতি আপনজন। আপনাদের সেবা করার জন্যই আমি কাজ করছি। আরও কাজ করতে চাই। গ্রামের মানুষদের কথা প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেন- তারা কেমন আছে, কিভাবে আছে? তাদের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নিয়ে আসুন, আমি পাস করে দেবো।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যা অমূল্য ধন। বিদ্যা ছাড়া উপায় নেই। বিদ্যার জন্যই আমি অজপাড়াগায়ের একজন মান্নান এখানে আসতে পেরেছি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। তাই বিদ্যা অর্জনের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আপনারা জানেন, দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। বড় বড় ডাকাতদের ধরে জেলে নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই শুদ্ধি অভিযান দেশ-বিদেশে অনেক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাই দেশের উন্নয়নে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রউফ সরকার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, শিমুলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহীন, পাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
পরিশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী উপকারভোগীদের মাঝে ৭০০ স্যানেটারি টয়লেট ও ৩০০ নলকূপ বিতরণ করেন।