কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের চতুল-ঈদগাহ বাজারে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ চতুল ঈদগাহ বাজারে গিয়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে স্থানীয় মুক্তাপুর গ্রামের ফকির আলীর পুত্র ফখরুল ইসলামকে আটক করেন।
পরবর্তীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা দায়েরের মাধ্যমে তাকে ২ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানা যায়, মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম চতুল ঈদগাহ বাজারের একজন মাংস ব্যবসায়ী। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় আরো অনেকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ফখরুল ইসলাম তার আরো ২ সহযোগীকে নিয়ে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকেন। অনেকে মাংস বাড়িতে নিয়ে গেলে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণিক লোকজন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আম্বিয়া সহ নেতৃবৃন্দকে জানান। তারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাজারে এসে দেখতে পান মাংস থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদকালে মাংস ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্বীকার করে বলে, স্থানীয় রায়পুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র নাজিম উদ্দিন তাকে সহ আব্দুল বাছিত ও আব্দুল হামিদকে ১৫’শ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করতে বলেছে।
বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানতে পেরে উপজেলা ফুড ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রাণি-সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে নিয়ে চতুল ঈদগাহ বাজারে যান। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাংস পরীক্ষা করে মৃত গরুর পঁচা মাংস হিসেবে সনাক্ত করেন। তখন মৃত গরুর পঁচা মাংস জব্দ করে পরবর্তীতে বাজারের পাশে মাটির গর্তে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন এ্যাসিল্যান্ড ফয়সাল আহমেদ।
এ সময় মৃত গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি মাংস ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম স্বীকার করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে এ সাজা ও জরিমানা।
সাজাপ্রাপ্ত ফখরুল ইসলামকে থানা পুলিশের মাধ্যমে সিলেট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।