কানাইঘাটে পেঁয়াজের বাজারে আগুন, মাঠে নেমেছে প্রশাসন

ভারত সরকার তিন মাসের জন্য বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কানাইঘাটের হাটবাজার থেকেও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ উধাও করে ফেলেন। বাড়িয়ে দেন পেঁয়াজের দামও।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কানাইঘাট বাজার, গাছবাড়ী বাজার, সড়কের বাজার ও চতুল বাজারসহ অন্যান্য হাটবাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় পেয়াজ বিক্রি হলেও বিকেলের দিকে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বাড়িয়ে দেন। পূর্বের নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতারা দোকানে দোকানে ভিড় করলে অতি মুনাফা লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মজুদকৃত পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলেন।

শনিবার উপজেলার হাটবাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করলে মাঠে নামে উপজেলা প্রশাসন। পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ ও বাজার মনিটরিং করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনের নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমদ শনিবার দিনভর কানাইঘাট বাজার, গাছবাড়ী বাজার, রাজাগঞ্জ বাজার, মুকিগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করেন।

এসময় ভূমি কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ প্রতিটি মোদী দোকানে গোডাউন তল্লাশী চালিয়ে পূর্বের নির্ধারিত পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন। অভিযানের সময় অসংখ্য মানুষ কেজি প্রতি ১১০ টাকা করে পেঁয়াজ কিনলেও অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা আবারো ১৬০ থেকে ২০০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।

পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রহস্যজনক কারণে শনিবার রাত পর্যন্ত অনেক হাটবাজারে ক্রেতারা পেঁয়াজ ক্রয় করতে গিয়েও পাননি।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার বিকেলে সিলেট কালিঘাট আড়ৎ থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। আগের মজুদকৃত পেঁয়াজ তারা পূর্বের দামে বিক্রি করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কানাইঘাটের বড় বড় হাট-বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা পূর্ব থেকে অনেক পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছিলেন, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম তারা বাড়িয়ে দেন এবং আবার অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলেন। যার কারণে হাটবাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে।

তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ পেয়াজের বাজার মনিটরিং করার জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। কোন ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।