আজ ১৬ সেপ্টেম্বর, কবি দীনেশ দাসের জন্মদিন। ১৯৮০ সালে নজরুল একাডেমির ‘নজরুল পুরস্কার’ প্রাপ্ত কবি দীনেশ দাস ১৯১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবা হৃষিকেশ দাস, মা কাত্যায়নী দেবী। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় গান্ধীর ‘লবণ সত্যাগ্রহ’ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ফলে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে। এর মধ্যেও ১৯৩০ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৩২ সালে আইএ পাস করেন।
১৯৩৩ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় বিএ পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। তার প্রথম কবিতা ‘শ্রাবণে’ দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৩৪ সালে। বাবা সরকারি চাকরি নিতে বলায় অভিমান করে কবি ১৯৩৫ সালে চা বাগানে চাকরি নিয়ে কলকাতা ছাড়েন। পরের বছরই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং সাম্যবাদী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন।
১৯৩৭ সালে লেখেন কালজয়ী কবিতা ‘কাস্তে’। কবিতাটি তাকে দ্রুত কবি খ্যাতি এনে দেয়। এরই মধ্যে নতুন করে কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯৩৮ সালে তিনি বিএ পাস করেন।
১৯৩৯ সালে ঢাকাবাসী উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী যামিনী বিশ্বাসের তৃতীয় মেয়ে মণিকা বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতাকে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। পরে চলে যান শিক্ষকতায়।
তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কবিতা, ভুখা মিছিল, দীনেশ দাসের কবিতা, অহল্যা, কাচের মানুষ, শ্রেষ্ঠ কবিতা/প্রথম পর্যায়, শ্রেষ্ঠ কবিতা, অসঙ্গতি, রাম গেছে বনবাসে।
কবি ত্রিশ বছর স্কুলে শিক্ষকতা করে ১৯৭৮ সালে অবসর নিয়েছিলেন। দীনেশ দাস ‘উল্টোরথ’ পুরস্কারও লাভ করেছিলেন। তার শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘রাম গেছে বনবাসে’ রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়। ১৯৮৪ সালে তার ‘কাব্যসমগ্র’ প্রকাশ হয়।
১৯৮৫ সালের ১৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।