সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে মাঝ আকাশে যাওয়ার পর ককপিটের কাচে (উইন্ডশিল্ড) ফাটল ধরা পড়ায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
বিমানের ফ্লাইটটি ক্রুসহ ২৯৭জন যাত্রী নিয়ে শনিবার বিকেলে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়। উড়োজাহাজটি মাঝ আকাশে পৌঁছার পর পাইলট তানিয়া রেজা ককপিটের কাচে (উইন্ডশিল্ড) ফাটল দেখতে পান। এ অবস্থায় তিনি উড়াল দেয়ার দু’ঘণ্টা পর ভারতের আকাশসীমা থেকে নিরাপদে যাত্রীদের নিয়ে শাহজালালে ফিরে আসেন।
বিমানের সূত্র জানায়, ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে উড়াল দেয়ার পর পাইলট ককপিটের কাচে ফাটল দেখতে পেয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি ভারতের আকাশসীমা থেকে পুনরায় ঢাকার দিকে রওয়ানা হন।
আরও পড়ুন > সিসিকের ‘অদক্ষতায়’ অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে কমিটি
উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে ভেতরের চাপ কমে গিয়ে উড়োজাহাজ ভারসাম্যহীন হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ এর ককপিটের কাচ ফেটে গেলে সেটিকে মালয়েশিয়ায় গ্রাউন্ডেড করা হয়। একই বছরের আগস্টে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার মাঝ আকাশে একই সমস্যার মুখোমুখি হয়। সেটিকেও ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এরকম ঘটনা সচরাচর হয় না। ড্রিমলাইনার বিমানের বহরে নতুন সংযোজন। মাত্র চার বছরে এই উড়োজাহাজে এমনটা ঘটার কথা নয়। তবে এটা ম্যানুফাকচারিং ফল্ট, না অন্য কোনো কারণে হয়েছে সেটা আইডেন্টিফাই করা হবে। এজন্য বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
আরও পড়ুন > সিসিকের ‘অদক্ষতায়’ অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে কমিটি
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার গণমাধ্যমকে জানান, ককপিটের কাচে ফাটল দেখা দেয়ার পর ক্যাপ্টেন সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে আছেন।