ঘটনার সময় তিনি যুক্তরাজ্যে। বিগত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশে আসেননি, কোনো রাজনৈকি দলের সাথেও জড়িত নন, এমনকি এখন পর্যন্ত সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তারপরও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় রাজনৈতিক মামলায় আসামী হয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউপির তিলাপাড়া মুক্তারপুর গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর ছেলে ইকবাল আহমদ (৪৪)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী ইকবাল আহমদের ভাতিজা ইলিয়াছ আলী। তার দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইকবাল আহমদকে হেয় প্রতিপন্ন করে হয়রানির করার জন্য তাকে এই মামলা ফাঁসানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার চাচা ইকবাল আহমদ একজন ব্রিটিশ নাগরিক। প্রায় দেড় বছর পূর্বে দেশে এসেছিলেন। এরপর আর দেশে আসেন নাই। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিগত ২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন একটি মারামারি ও নাশকতার মামলায় (মামলা নম্বার-৪৪১১৫/১) তাকে আসামি করা হয়। আমার চাচার ব্যক্তিগত ইমেজ নষ্ট করা বা তার পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য এক শ্রেণির সুবিধাভোগী মানুষ মামলায় চাচাকে জড়িয়েছে। মামলার বাদি সহ সংশ্লিষ্ট কারো সাথে আমার চাচার সম্পর্ক নেই, কাউকে তিনি চিনেনও না। আমার চাচা বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। দেশে এলে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করেন। সামাজিক ভাবে এলাকায় চাচার সুনাম রয়েছে। এজন্য প্রতিহিংসায় তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াছ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, আমি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। কিন্ত আমাকেও একবার ছাত্রদলের নেতা বলে দক্ষিণ সুরমায় আরেকবার গোয়াইনঘাট থানায় আওয়ামী লীগ বলে দুটি মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি এবং আমার যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচাকে হয়রানিমূলক মামলা থেকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আকুল আবাদেন জানাচ্ছি।’
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইকবাল আহমদ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। দীর্ঘদিন থেকে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছি। গত দেড় বছর পূর্বে একবার বাংলাদেশে এসেছিলাম আর দেশে আসিনি। কে বা কারা আমাকে দক্ষিণ সুরমায় একটি রাজনৈতিক মামলায় আসামি করেছে। আমাকে হয়রানী ও আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে মামলায় জড়িয়েছে। আমি প্রশাসনের নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কালে যদি কেউ দেশের বাইরে থাকে অথবা নিরপরাধ প্রমানিত হয় তখন তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।’