ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের ছাগলহাট ও হকার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫ টায় এ অগ্নিকান্ডটি ঘটে। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দেড় ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ অগ্নিকান্ডে ২২টি কাপড়ের দোকানঘর ও একজন ছাগল ব্যবসায়ীর ১২টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, ওসমানীনগরের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারের ছাগল (পুরাতন গরুর) হাটে হকারদের ২৩টি ক্ষুদ্র কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে একটি দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে আগুন বাড়তে লাগলে সবগুলো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিকট শব্দ হলে বাজারের নৈশপ্রহরি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ততক্ষণে সবগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীদের কোটির টাকার ক্ষতি হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ভোরে আগুন লাগার খবর পান। ব্যবসায়িরা জানান, তারা বাজারের ফুটপাতে ব্যবসা করতেন। কিন্তু বাজারের সমস্যা দেখা দেয়ার কারণে প্রায় ১০ বছর পূর্বে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তাদেরকে ছাগলহাটা (পুরাতন গরুর বাজারে) স্থানান্তর করা হয়েছিল। তখন থেকে তারা নিজ খরচে টিনসেডের ঘর তৈরি করে ব্যবসা করে আসছেন। অগ্নিকান্ডে তাদের স্থাপনাসহ প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।। শুধু কাপড় নয়, ছাগল ব্যবসায়ী সানুর মিয়ার ১২টি ছাগল পুড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ৮টি ছাগলের মৃত্যু হয়।
তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার সুকুমার সিংহ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে দুটি ইউনিট পৌঁছে। আমাদের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আগুন নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বাজারের অন্যনান্য বড় বড় দোকানগুলো জ¦লে বিরাট ক্ষতি হতো। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
হকার মার্কেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আবদুল কাদির বলেন, শীত ও পূজা উপলক্ষে আমরা প্রত্যেক ব্যবসায়িরা নতুন মাল আমদানী করে ঘরে তুলি। এখন সব পুড়ে ছাই! ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলীমা রায়হানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি সহযোগিতার জন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবো।