গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শান্তিগঞ্জের হিজলবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান সাদিকের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি পক্ষ জামিনের আবেদন করলে দ্রুত বিচারিক আদালত না থাকায় এম এ মান্নানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শান্তিগঞ্জে প্রথম বিক্ষোভ করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাগলা বাজার বাসস্ট্যান্ডে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পাগলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাছির আলী ও রাহাদ হোসেন বলেন, ‘গত ৪ আগষ্ট সুনামগঞ্জে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। তাদের যৌথ হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ওইদিন সকালে শান্তিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে একটি মিছিলও করেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করায় আমাদের নামে থানায় মামলা দায়েরের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মূলত আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা হয়েছিল। এঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এম এ মান্নান গ্রেপ্তার হয়েছেন শুনেছি। আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাগলা বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী জুবেল আহমদ, বিরাম উদ্দিন, জাহিনূর রহমান, বিশ্বজিৎ দে শুভ্র, রাজুউল হক, লিপছন আহমদ, মিজানুর রহমান, রিমন আহমদ, সামির আহমদ, আজমান মিয়া, শাহিদ আলমসহ আরো অনেক।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন ঘটনায় আহত জহিরের ভাই।