উপহারের গাড়ি আনতে হবিগঞ্জে যাচ্ছেন হিরো আলম

হিরো আলম উপহারের গাড়ি নিতে হবিগঞ্জে যাচ্ছেন। সেখানকার এম মখলিছুর রহমান নামে এক স্কুল শিক্ষক তাকে নিজের ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দিচ্ছেন।

এম মখলিছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজী আবদুল জব্বার জি এল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপনির্বাচনের এক দিন আগে গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উপনির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে এসে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন হবিগঞ্জের ওই শিক্ষক। প্রথমদিকে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি হিরো আলম। যোগাযোগও করেননি। নির্বাচনের তিনদিন পর আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে ভিডিও দেন এম মখলিছুর রহমান নামের ওই শিক্ষক। এরপর যোগাযোগ করেন হিরো আলম। অবশেষে সেই গাড়ি আনতে আজ সোমবার রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, গাড়ি আনতে আজ রাত ১১টার দিকে রওনা দেবো। অনেকে অনেক কিছু দিতে চান, পরে দেন না। দেখি ইনি গাড়ি দেন কি না।

মখলিছুর রহমান ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘হিরো আলম একসময় জিরো ছিলেন। জিরো থেকে তিনি হিরো হয়েছেন। হিরো আলম এখন সোনার টুকরা। দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়ার মানুষ জানের চাইতে তাঁকে বেশি ভালোবাসেন। তিনি বগুড়ার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। নির্বাচনে ফল যেটাই আসুক না কেন, সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে গাড়িটি তাঁকে উপহার দিতে চাই।’

প্রসঙ্গ, বগুড়া-৬ আসনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৪৩ ভোটের ব্যবধানে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হারেন হিরো আলম। ভোট গণনার সময় দেখা যায় তিনি ১১২ কেন্দ্রের মধ্যে ৬০ কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন। পরে সব কেন্দ্রের ভোট গণনা করে দেখা যায় হিরো আলম পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট।

হিরো আলমের অভিযোগ, ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি ভোট পুনর্গণনার দাবিতে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।