সিলেটে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকা থেকে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার আয়োজনে এই ‘মুবারক র্যালি’ বের করা হয়। র্যালিতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অংশ নেন।
র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সোবহানীঘাট এলাকায় এসে শেষ হয়। র্যালিতে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর শানে রচিত কালজয়ী কবিতার শ্লোক সম্বলিত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। অংশগ্রহণকারীরা প্রিয়নবীর প্রশংসা গীতি পরিবেশন করেন, যার মধ্যে “বালাগাল উলা-বি কামালিহি…” এবং “শামছুদ্দুহা আসসালাম…” এর মতো নাতে রাসুল বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়।
র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এস এম মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব হুসাইন আহমদের পরিচালনায় র্যালির পূর্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
বক্তারা বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র জগতের জন্য রহমতের উৎস। তাঁর আগমনে পৃথিবী অন্ধকার থেকে আলোর পথ পেয়েছিল। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতের সর্দার এবং বাল্যকাল থেকেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। পৃথিবীর কোনো নিপীড়িত, বঞ্চিত, বা মজলুম ব্যক্তি তাঁর আশ্রয় থেকে বঞ্চিত হয়নি। তিনি মজলুমদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিলেন।