সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে সরকার ইমামদেরকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমামরা যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলাসহ কৃষি বনায়ন, স্বাস্থ্য ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে সাত জেলার ইমামদের নিয়ে ৪৫ দিনব্যাপী ১০৭৪তম দলের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট করে অসংখ্য আলেমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক আবু ছিদ্দিকুর রহমান।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও মাওলানা ইউনুছ আলীর তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। প্রশিক্ষণার্থী ইমামদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজী ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলার নির্বাচিত ১০০ ইমাম অংশ নেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমাম ও খতিবগণ সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। এতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে।
অনুষ্ঠান শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের ধর্মীয় প্রশিক্ষক জুবাইর আহমদ আজহারী।