ইনজুরি থেকে নেইমারের প্রত্যাবর্তনের পর নকআউট পর্বে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নজরকাড়া ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন এবং লুকাস পাকেতার গোলের পাশাপাশি নেইমারের পেনাল্টি- চমৎকার পারফর্ম্যান্স ছিল সেলেসাওদের।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। কিন্তু ইউরোপ বাধা টপকাতে পারবে ব্রাজিল?
২০০২ সালে শেষবার বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে চার আসর। প্রতিবারই ইউরোপে পা হড়কে গেছে ব্রাজিলের। যার মধ্যে ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের বড় হার এবং রাশিয়ায় চার বছর আগে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।
আগের চার আসরেই ব্রাজিল গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়েছে। চার আসরের তিনবারই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে, একবার সেমিফাইনালের আসর থেকে। প্রতিবারই তাদের সামনে ইউরোপীয়রা ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবার ব্রাজিলের সামনে গত আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েটরা। ২০০২ সালের পর ইউরোপের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হওয়ার যে ধারাবাহিক ব্যর্থতা ব্রাজিলের, এবার কি সেই আক্ষেপ ঘুচবে?
আগের চার ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ব্রাজিল। শুক্রবার সেই ধারাবাহিকতা ভাঙলে ক্রোয়েশিয়া তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠবে। ১৯৯৮ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করার পর তারা ২০১৮ সালের আসরে ফাইনালিস্ট ছিল। অন্যদিকে, ব্রাজিল জিতলে নবমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠবে তারা।
ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী দল আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচ খেলবে।