ইউনেস্কোতে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তঃসরকার পর্ষদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ২০২২-২৬ মেয়াদে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে। সাধারণ সভা চলাকালীন বুধবার (৭ জুলাই) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি শূন্যপদে বাংলাদেশ ছাড়াও কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে৷ নির্বাচনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে এ পর্ষদে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার তালহা বলেন, বাংলাদেশের এই জয়লাভ বিগত পাঁচ দশক সময়ে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিয়মিত উদযাপন ও দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতার ফসল। গত নভেম্বরে সৃজনশীল অর্থনীতি খাতে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর বাংলাদেশের এই নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
এ নির্বাচনে জয়লাভের নেপথ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশংসা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর জানান, ২০০৩ কনভেনশনের আওতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জামদানি বুনন, শীতল পাটি, বাউল সংগীত এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে বিশ্ব-দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়লাভের ফলে বাংলাদেশের আরও যেসকল অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে তা বিশ্বে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহের পাশাপাশি বিশ্বে অন্যান্য দেশে এই ধরনের ঐতিহ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা প্রদানের গুরুদায়িত্ব বাংলাদেশের ওপর অর্পিত হবে। এটিকে তিনি সাংস্কৃতিক খাতে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে মনে করেন।
৫ থেকে ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত এ সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুরের নেতৃত্বে গঠিত ৪-সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা অংশ নেন।