ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের সম্মেলন শুরু হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার বিদ্যমান ‘যুদ্ধের অবসান’ ঘটানোর আহ্বান জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। কেননা, এই সংঘাত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি দুনিয়াজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের জি-২০ সম্মেলনেও বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নিজের ভাষণে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি সম্মানের বিষয় বলে উল্লেখ করেন জোকো উইদোদো।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগের দিন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এবারের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়াল মাধ্যমেও কোনও বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা সেটিও নিশ্চিত নয়। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও তার দেশ এই জোটের সদস্য নয়।
অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে বাইডেন সন্তুষ্ট কিনা- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান। তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটিকে বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি মোকাবিলায় বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর নেতাদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ঋণ সংস্কারসহ বাস্তবিক বিষয়গুলোর ওপর তিনি জোর দেবেন।