আরও ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে দেশের ১২ প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানি করতে পারবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অক্টোবরের শুরুতে বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

দ্বিতীয় দফায় ডিম আমদানির অনুমতির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে সীমিত সময়ের জন্য বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উল্লেখিত পরিমাণে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তবে ডিম আমদানিকারকদের এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শর্তগুলো হলো-

(১) দ্য ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথের (ডব্লিউওএএইচ) গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং অথবা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের ‘কম্পিটেন্ট অথরিটি’ কর্তৃক জোনিং অথবা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট বা ঘোষণা দাখিল করতে হবে।

(২) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।

(৩) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।

(৪) ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের অন্যূন ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।

(৫) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

(৬) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।