দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। তবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জমকালো এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
বুধবার (২২জুন) বেলা ১১টায় সেতু বিভাগের উপ-সচিব দুলাল চন্দ্র সুত্রধর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
যেখানে বিএনপির সাতজন শীর্ষ সারির নেতার নাম থাকলেও ছিল না খালেদা জিয়ার নাম। আমন্ত্রণ পাওয়া বিএনপির সাত নেতা হলেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রটি বুধবার ড. ইউনূসের পক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকসহ সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিদেশি কোনো অতিথি অনুষ্ঠানে থাকছেন কি না, জানতে চাইলে সেতু বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন বিদেশি অতিথি হিসেবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের বিদেশি কর্মী যারা এ সেতু তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারাও আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আগামী শনিবার (২৫ জুন) বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রায় ৮-১০ লাখ লোকের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।