আগস্ট মাস শোকের মাস পিতাকে হারানোর মাস। বাঙালি জাতির জন্য বেদনাবিধুর ক্ষণ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্রের হাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়।
শোকের মাস আগস্ট স্মরণে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সারাদেশে প্রতিটি বিভাগে আয়োজন করেছে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিনহা।
বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত’র সঞ্চালনায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রফেসর শামীমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিলেটের সকল আবৃত্তিশিল্পীদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল আলম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রাণা কুমার সিনহা, প্রতীক এন্দ, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী নাজমা পারভীন,আবৃত্তিশিল্পী রোহেনা দিপু, আবৃত্তিশিল্পী সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সেনাসদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতাকে নিবেদিত আবৃত্তি পরিবেশন করেন ফাইজা বাসিসা কোরেশী, নাফিসা তানজিন, জান্নাতুন তাসনুভা স্মিতা, রেজাউল করিম রাব্বী, শেখ তাসরিন হোসেন কানন, প্রমিদেব, শান্তনা দাশ, জয়িতা জেহেন প্রিয়তী, মেহেজাবীন মোতাহার মুনিয়া, শ্যামলী দাস, অর্চিতা ভট্টাচার্য, চপল কুন্ডু, ফারিহা তাহসিন প্রীমা, রুবেল আহমেদ, স্রোতস্বিনী স্নেহা প্রমুখ।
নৃত্য পরিবেশন করে ললিত মঞ্জরি। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন প্রতিভা রায় কেয়া।