দেশে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাসভিত্তিকই অর্ধেক। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে, ওইসব কেন্দ্রের জন্য গ্যাস ক্রয় করতে হবে ১৪ টাকা প্রতি ঘনমিটার। যা এক লাফে বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। পিডিবির হিসাবে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৯ টাকা মতো। কিন্তু গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হলে, ইউনিটপ্রতি খরচ বাড়বে অন্তত ১ টাকা।
ফলে সেই বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবির বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আর তা সমন্বয়ের কমানোর প্রধান পথই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টারতৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীরও একই মত। এজন্য সরকার সময়ও নিতে চায় না খুব বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, গ্রীষ্মকালে ১৬ মেগাওয়াটের চাহিদা পূরণে, দ্রুত আমদানি বাড়াতে হবে গ্যাস, কয়লা এবং তরল জ্বালানির। সে কারণে, আর্থিক সংকট কাটাতেও, আগাম প্রস্তুতিতে যেতে চাইছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তেল-গ্যাস বিক্রিতে লাভে আছে সরকার। তাই উচিত হবে, বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সেখান থেকে সমন্বয় করা।
বর্তমানে ১০ হাজার মেগাওয়াটের নিচে চাহিদা থাকলেও, তা উৎপাদনে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিয়মিত। ফলে, লোডশেডিংও হয়ে উঠেছে নিয়মিত ঘটনা।