আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসে ব্যতিক্রমী সাইকেল র‌্যালী

বুধবার আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। প্রতিবছর ১১ অক্টোবর দিবসটি পালন করে থাকে বিশ্ববাসী। দিবসটি মেয়েদের দিন হিসেবে পরিচিত। এবার কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মেয়েদের অধিকারে বিনিয়োগ করুন আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের কল্যাণ’।

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে নো পাসপোর্ট ভয়েজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী সাইকেল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সাইকেল র‌্যালিটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন আন্তর্জাতিক ফোরাম দি ক্লাব জি-১০০, হিউম্যান রাইটস উইং।

বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাইকেল র‌্যালীটি শুরু হয়ে টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

নো পাসপোর্ট ভয়েজ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ব্যারিষ্টার ফাতেমা ওয়ারিথা আহসান এর সভাপতিত্বে ও কর্মকর্তা শরিফ হাসান ব্যাপী এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. তাহমিনা ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন নো পাসপোর্ট ভয়েজ ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রিয়াংকা আহসান। এছাড়াও নো পাসপোর্ট ভয়েজ ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের ১৫ জন গার্লস এডভোকেট সাইক্লিস্টসহ ৫ জন নবনির্বাচিত গার্লস চ্যাম্পিয়ন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. তাহমিনা ইসলাম বলেন, আমরা চাই আমাদের মেয়ে শিশুরা কোনভাবেই যেন আর কোন বৈষম্যের শিকার না হয়। অকালে বাল্য বিয়ের থাবায় যেন ঝরে না যায়, তাদের পথ চলা যেন হয় মসৃণ, আরো সহজ। এমন একটি সমাজ আমরা চাই যেখানে প্রতিটি মেয়ে শিশু বেড়ে উঠবে তার স্বপ্ন ও আত্বমর্যাদা নিয়ে। কোন বঞ্চনার শিকার হবেনা। সহিংসতা মুক্তহীন ভাবে সে বেড়ে উঠবে, হাসবে খেলবে এই সুন্দর ধরণীতে।

নো পাসপোর্ট ভয়েস এর ফাউন্ডার ব্যারিস্টার ফাতেমা ওয়ারিথা আহসান বলেন, কন্যা শিশুদের নিয়ে সাইকেল র‌্যালিটির আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই র‌্যালিটি কন্যা শিশুদের অদম্য শক্তির একটা টেস্টামেন্ট। এই মেয়েরাই সমাজের কুসংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করে একটি অন্তভুক্তি মূলক পৃথিবী নির্মানে নেতৃত্ব দিবে। কন্যা শিশুরা শুধুমাত্র তাদের জন্য নয় বরং তাদের মতো অসংখ্য কন্যা শিশুদের জন্য যারা একটি জেন্ডার স্টেরিওটাইপ বিহীন এবং বৈষম্যহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে যেখানে লৈঙ্গিক ন্যায্যতাই মূলভিত্তি। যদি আমরা স্থানীয় সম্প্রদায় ও তৃণমূল পর্যায়ের অংশীজনদের যুক্ত না করি তাহলে সমাজের কূপ্রথা বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরালো হবে না।

শুধুমাত্র নো পাসপোর্ট ভয়েজের ফাউন্ডার হিসাবে নয়, আন্তর্জাতিক ফোরাম জি-১০০, হিউম্যান রাইটস উইং এর কান্ট্রি চেয়ার হিসাবে তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সারা পৃথিবীর সবাইকে এডভোকেসি করতে আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি কন্যা শিশুদের অধিকারে বিনিয়োগ বাড়াতে জোর দাবি জানান। এই বিনিয়োগ যেন শুধুমাত্র সেলাই মেশিন অনুদান বা তথাকথিত বিশেষ বরাদ্দের মতো না হয়, বরং কন্যাশিশুদের কারিগরি উচ্চ শিক্ষায় আলোকপাত করতে হবে।