১২১ বছরের দ্বৈরথ; ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে এই ধরায় ক্লাব ফুটবলের অন্যতম বড় লড়াই হিসেবে ধরা হয় এটিকে। যদিও এখন সেই উত্তাপ বা উন্মাদনার লেশ মাত্র নেই। তারকার ঝনঝনানিও শোনা যায় না। মূলত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি স্পেন ছাড়ার পর অনেকটাই পানসে হয়ে উঠেছে ‘এল ক্ল্যাসিকো’।
শেষ কটা ম্যাচের চিত্রনাট্যও সেই কথা বলবে। আজ ২৮৬ নম্বর ক্ল্যাসিকোয় মুখোমুখি হবে স্পেনের দুই জায়ান্ট বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রাত ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
তার আগে হুট করেই ছন্দপতন হলো বার্সার। লা লিগায় রীতিমতো উড়তে থাকা দলটির ডানা ছেঁটে দেয় পুঁচকে আলমেরিয়া। তাদের কাছে হারার পর কাতালান কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন, ‘মৌসুমের সবচেয়ে বাজে ম্যাচটা আমরা খেললাম।’
রিয়াল এতদিন এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করেছিল। তারা চেয়েছিল বার্সা পথ হারাক। শেষ পর্যন্ত যেন সেটাই হতে যাচ্ছে। আজ কোপা দেল রের এল ক্ল্যাসিকো। দুই লেগের সেমিফাইনাল হওয়ায় আজকের পর আরেকটি সুযোগ পাবে পরাজিত দল।
প্রথমটি রিয়ালের মাঠে হওয়ায় তারাই ফেভারিট। তাছাড়া বার্সার মূল গোলমেশিন রবার্ট লেভানডস্কিও নেই। চোটের কারণে আজ খেলা হবে না এই পোলিশ তারকার। তাঁকে ছাড়া রিয়াল পরীক্ষায় পাস মার্কস তুলতে পারবে কিনা বার্সা, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
রিয়াল অবশ্য খুব করে চাইবে কোপা দেল রের ট্রফিটা নিজেদের কাছে রাখতে। কেননা, স্প্যানিশ সুপার কোপায় এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বার্সা। রিয়াল তাই এই প্রতিযোগিতা দিয়ে ট্রফি উৎসব করতে চাইছে।
রিয়ালের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রাও দারুণ ছন্দে। ব্রাজিল সেনসেশন ভিনিসিয়ুস প্রতি ম্যাচেই গোলে অবদান রাখছেন। মাঝে-মধ্যে ঝলক দেখাচ্ছেন অ্যাসেনসিও এবং রদ্রিগোরা। তবে বার্সার ফেরান তোরেস, রাফিনহাও গোলমুখে চাপ তৈরি করতে পারেন। আজকের ম্যাচে লেভাকে ছাড়া তাই এরাই জাভির আক্রমণভাগের ভরসা।