আচরণবিধি লঙ্ঘনের শোকজের জবাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান।
নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় সাকিবকে লিখিত জবাবসহ সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে সাকিব তার আইনজীবীকে সাথে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন।
সেখানে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদারের দপ্তরে কমিটি এক ঘণ্টা সময় সাকিবের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সেখান থেকে বের হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব।
সাকিব বলেন, প্রথমবার আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই কিছু ভুল আমার অজান্তে হয়ে যেতে পারে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। এখন আমি আইন-কানুনগুলো ভালোভাবে জানবো। এরপর যদি হয় তাহলে আমার দোষ হতে পারে; কিন্তু এখন যেটি হয়েছে সেটি নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেই বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।
সাকিবের আইনজীবী সাজিদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, প্রার্থী একজন বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেটার। ঘটনার দিনে তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ভিড় করেছিলেন। প্রার্থী কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কোনো আয়োজন ছিল না। বিধায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। তারপরও অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছেন। আমরা লিখিত জবাব দিয়েছি। দেশের প্রচলিত আইন এবং নির্বাচন কমিশনের যে দিকনির্দেশনা রয়েছে সেটি আমরা শতভাগ পালন করবো। ভবিষ্যতে যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সেদিকে নজর রাখবো।
গত ২৯ নভেম্বর মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী সাকিব ঢাকা থেকে মাগুরায় ফেরেন। এদিন দুপুরে তাকে মাগুরার প্রবেশমুখে ওয়াপদা বাজার এলাকায় হাজার হাজার মানুষ অভ্যর্থনা জানান। পরে মাগুরা শহরে আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে নাগরিক গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ নভেম্বর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাকিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।