আইসক্রিম তৈরিতে ব্যাবহার হয়েছে কাপড়ের রং, স্যাকারিন তারিখ ও লেবেলবিহীন ফ্লেভার। আবার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন।
এসব অপরাধে সিলেট শহরতলীর অনন্তপুর তেমুখী পয়েন্ট, কুমারগাঁও ও টুকেরবাজার এলাকায় বাজার তদারকি অভিযানকালে প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমারা আদায় করেছে জাতীয়-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়।
সোমবার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অনন্তপুর তেমুখী পয়েন্ট এলাকায় ফেমাস আইসবার ফ্যাক্টরিকে আইসক্রিম তৈরিতে অনুমোদনহীন ফেব্রিকস ডাই, স্যাকারিন, তারিখ ও লেবেলবিহীন ফ্লেভার ব্যবহার করায় এবং প্যাকেটজাত আইসক্রিমে উৎপাদনের তারিখ না দেওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অপরাধে কুমারগাঁও এলাকায় নাজমুল আইসবার ফ্যাক্টরিকে আরও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এছাড়া টুকেরবাজারে হাজী কুটি মিয়া মডেল ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে ভোক্তা-স্বার্থ সংরক্ষণ ও আইনকানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচারণামূলক লিফলেট-পাম্পলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো), শ্যামল পুরকায়স্থ ও সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া। এতে সহায়তা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাজার কমিটি।