কক্সবাজারে ভারী বর্ষণের কারণে ভূমি ধ্বসে ৪ জন ও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে নিখোঁজ রয়েছেন একজন।
সোমবার (৭ আগস্ট) পৃথক পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, গত কয়েক দিন ধরে ভারিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদীতে তীব্র বেগে ঢল নেমেছে। ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে শাহা আলম (২৮) নামে এক পান ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন।
ইউএনও আরও বলেন, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দুর্গম পূর্ব ভিলিজারপাড়ায় মাটির ঘরের দেয়াল ধসে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে অতিবর্ষণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না। তবে দেয়াল ধসে শিশু মৃত্যুর খবর সঠিক বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান।
অপরদিকে, টানা ভারি বর্ষণে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্প-৯ এর এ/৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আনোয়ার ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা (২৮) এবং তাদের মেয়ে মাহিম আক্তার (২)।
ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পানবাজার পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অন্য রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মাটিচাপা অবস্থায় জান্নাত আরা (২৮) এবং শিশু মাহিমকে উদ্ধার করে।
অপরদিকে, ভারি বর্ষণে মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকায় টমটম চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ইয়াছিন মামুন (১৬) পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মুহাম্মদ রফিকের ছেলে। লিডারশিপ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। মামুনের বাবা পৌরসভার সুইপার হিসেবে কাজ করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সংসারের খরচ জোগাতে পড়াশোনার পাশাপাশি টমটম চালাত মামুন।