সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঢিলে-ঢালাভাবে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দিনের অবরোধে আজও মাঠে নেই বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পৌর শহরের বেশ কিছু স্থানে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।
সকাল থেকে জগন্নাথপুর পৌর শহরে জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবোরোধ পৌরশহরের সড়কগুলোতে সবধরনের ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ভারী যানবাহন চলাচল ছিল অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি।
অফিস-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট যথারীতি খুলেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সড়কে দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াতের কোনো পিকেটার। হয়নি মিছিল-সমাবেশ।
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সড়কে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ দেখা গেছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অবরোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। প্রতিটি রাস্তায় পুলিশের টহল রয়েছে। কেউ যদি জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নষ্ট করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, অবরোধ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদের নেতৃত্বে, জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করা হয়।
পরে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর পৌর সভার প্যানেল চেয়ারম্যান সাফরুজ ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায়, লুৎফুর রহমান, আনহার মিয়া, মসাহিদ মিয়া, বদরুল ইসলাম, ফিরোজ আলী, যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল মুকিত প্রমুখ।