অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব পড়বে ভারতীয় উপকূলে। ক্রমেই উত্তর মুখে অগ্রসর হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের উপকূলের আরও কাছে চলে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর রবিবার (১১ জুন) জানিয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ‘বিপর্যয়’ সম্ভবত আগামী ১৫ জুন উত্তরপূর্ব দিকে-পাকিস্তান এবং ভারতের গুজরাটের সৌরাষ্ট্র এবং কুচ উপকূলের দিকে যাবে।

এ ব্যাপারে রবিবার এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতের মুম্বাই থেকে পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছিল। আগামী ১৫ জুন এটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পাকিস্তান এবং তৎসংলগ্নীয় সৌরাষ্ট্র এবং কুচ উপকূলের দিকে পৌঁছাতে পারে।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শক্তি সঞ্চার করছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যখন একটি নিম্নচাপের তিন মিনিটের গড় বাতাসের গতিবেগ ৬৩ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে হয় তখন এটিকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হয়। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, বাতাসের গতিবেগ ১১৮ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার হলে অতিপ্রবল এবং বাতাসের গতিবেগ ১৬৬ থেকে ২২০ কিলোমিটার হলে অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হয়।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের বাতাসের গতিবেগ রোববার ১৬৬ থেকে ২২০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি ধরে রাখায় পাকিস্তানের করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ শনিবার জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

এছাড়া বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল হলেই করাচি বন্দরে সব ধরনের জাহাজ ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।