অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’। সময়ে সময়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজারে।
শুক্রবার (১২ মে ) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে কক্সবাজারে। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। বেলা ১১টার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়। বর্তমানে জেলার বেশকিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
জেলার কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে জেলার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, আবার কোথাও একটু বেশি। সময় যতোই গড়াচ্ছে ততোই বাতাস বাড়ছে। রামুর বাসিন্দা কফিল উদ্দিন জানান, সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। সেই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, মোখা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে দুপুর ১২টা থেকে সেন্টমার্টিনের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। স্থানীয়দের অনেকেই ট্রলারে করে নিরাপদ স্থানের খোঁজে টেকনাফের দিকে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।