ওসমানীনগরে

অচেতন প্রবাসীদের উদ্ধার: ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মা

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় স্বামী ও এক সন্তানকে হারানোর পর বাকি দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হোসনে আরা বেগম।

তাদের তিনজনের মধ্যে ছেলে সাদিকুল ইসলামের অবস্থা গতকালের মতো তুলনামূলক ভালো হলেও মেয়ে সামিরার অবস্থা অবনতি হয়েছে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে হোসনে আরা বেগমেরও।

চিকিৎসকরা বলছেন, ফুডপয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের এমন অবস্থা হয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট করে এখনো কোনকিছু বলতে পারছে না তারা।

সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে রোগীদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে তাদের। পরবর্তীতে তারা তদন্তের কাজে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে প্রাথমিকভাবে স্বজনদেরকে টার্গেট করেই তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, সময়ে সময়ে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও একইসাথে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন তিনজনের সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

তারা সুস্থ্য হলে স্বজনদের বক্তব্যের সাথে মিলিয়ে তদন্তের একটা অগ্রগতি হতে পারে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার সকালে সিলেটের ওসমানীগরে নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরিবারের বাকি ৩ সদস্যকে।

এর আগে গেল ১২ জুলাই পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে জন্মভুমিতে আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম। ৬ দিন ঢাকায় ছেলে সাদিকুল ইসলামের চিকিৎসা শেষে ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর বাজারে ভাড়া বাসায় ওঠেন। ওই বাসাতেই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন তারা।